আগামী ১০ বছরে এই ধাতুর চাহিদা সোনার চেয়ে বেশি হবে !
ভারতে পিতল, রুপো এবং অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতুগুলিতে ব্যবহারের কারণে জিঙ্কের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল জিঙ্ক ইউনিয়ন (IZA) জানিয়েছে যে, ভারতে জিঙ্কের ব্যবহার বর্তমান ১১ লাখ টন থেকে আগামী ১০ বছরে ২০ লাখ টনের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘জিঙ্ক কলেজ’ ২০২৪ প্রোগ্রামে IZA-এর কার্যকরী নির্দেশক অ্যান্ড্রু গ্রিন জানিয়েছেন যে, “ভারতে জিঙ্কের ব্যবহার এবং চাহিদা ১১ লাখ টন, যা ভারতের বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে বেশি। আগামী ১০ বছরে এটি ২০ লাখ টনের বেশি পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে।” বিশেষ বিষয় হল সোনার তুলনায় জিঙ্কের ব্যবহার বহুগুণ বেশি। ভারতে প্রতি বছর সোনার ব্যবহার ৭০০ টনের বেশি। অর্থাৎ আগামী ১০ বছরে এই ধাতুর চাহিদা সোনার চেয়ে বেশি হবে।অ্যান্ড্রু গ্রিন জানিয়েছেন যে, “প্রাথমিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী জিঙ্কের বাজার প্রতি বছর প্রায় ১৩.৫ মিলিয়ন টন। একটি বড় পার্থক্য হল আমরা যদি মাথাপিছু জিঙ্কের ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলি, তবে বিশ্বব্যাপী এটি ভারতের ব্যবহারের চেয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।”
কোথায় জিঙ্ক ব্যবহার করা হয় –
পিতল, নিকেল সিলভার এবং অ্যালুমিনিয়াম সোল্ডারের মতো মিশ্র ধাতুতে জিঙ্ক ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রঙ, রবার, প্রসাধনী সামগ্রী, ওষুধ, প্লাস্টিক এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতেও জিঙ্ক অক্সাইড ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। রুপোর মতো দেখতে এই ধাতুর দাম প্রতি কেজি ২৭০ টাকা।
IZA-এর কার্যকরী নির্দেশক জানিয়েছেন যে, “এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বৈশ্বিক মান পূরণের জন্য জিঙ্কের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে আমি অটোমোটিভ সেক্টরের একটি উদাহরণ দিতে পারি। বিশ্বব্যাপী অটোমেশন সেক্টরে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ‘গ্যালভানাইজড স্টিল’ ব্যবহৃত হয়। ভারতের এই অঞ্চলে ইস্পাতকে মরচে থেকে রক্ষা করে এমন জিঙ্ক মাত্র ২৩ শতাংশ।”
0 Comments