Hot Posts

6/recent/ticker-posts

//দল নিষিদ্ধের# প্রস্তাব //সংশোধনীর #খসড়ায়

 

''দল নিষিদ্ধের প্রস্তাব সংশোধনীর খসড়ায়''


আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় গুম ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা যুক্ত করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক দল যদি এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ করে, তাহলে সে দলকে ১০ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটিসহ আইনে পাঁচটি ধারা-উপধারা সংযোজন এবং তিনটি ধারা সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩’ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা।



'আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩' সংশোধনবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় খসড়া সংশোধনী প্রস্তাবগুলো তুলে ধরা হয়। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ সভা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে সংশোধনীর খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, 'যেসব নেতা বা যেসব ব্যক্তি এখানে (ট্রাইব্যুনালে) বিচারের সম্মুখীন হবে, তাঁদের যাঁরা সমর্থক আছেন, তাঁদেরও যেন মনে হয় সত্যি উনি (ওই নেতা) অন্যায় করেছেন বা অন্যায় করেননি, তাঁরাও যেন কনভিন্সড (সন্তুষ্ট) থাকেন। আমরা এই সমাজে আর ক্ষত চাই না। বিভাজন চাই না। বিচারের মধ্য দিয়ে একটা রিকনসিলিয়েশন (পুনর্মিলন) প্রসেসের (প্রক্রিয়া) শুরু করতে চাই। সবাই যেন একমত হয় বিচারটা যেটি হয়েছে, বিচারে যে শাস্তি পেয়েছে, যদি পায় — এটা অবশ্যই তার প্রাপ্য ছিল।'

''যত হতাশা থাক, যত ক্রন্দন থাক, ক্ষোভ থাকুক, বিচার অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।''
অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আইন উপদেষ্টা

কোনো প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসা নয়, সুবিচার নিশ্চিত করতে চান, উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সবাই দেখেছে, কী ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একটা দেশের বৃদ্ধ প্রজন্ম একটা তরুণ প্রজন্মকে উন্মত্তভাবে খুনের নেশায় নেমেছিল। বুকের ভেতর যত কষ্ট থাক, যত হতাশা থাক, যত ক্রন্দন থাক, ক্ষোভ থাকুক, বিচার অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।সভায় নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, চার ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। একটা হলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। আরেকটি হলো ফৌজদারি অপরাধ। যারা গুম করেছে, খুন করেছে বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে। তৃতীয় হলো আর্থিক দুর্নীতি, লুটপাট, ব্যাংক লুট ও বিদেশে টাকা পাচার। আরেকটি হলো নির্বাচনব্যবস্থা-সংক্রান্ত অপরাধ। যারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩’ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার।



সভায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, 'রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছে কবে? খুঁজে পাবেন সেই নুরেমবার্গের আমলে। ২০২৪-এ এসে আশা করি নুরেমবার্গ প্রয়োগ করতে যাব না।… এখানে শুধু কয়েকজন তৃপ্তি পাবে, যারা অন্য রাজনীতি করে।'

মতবিনিয়ময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, অধিকারকর্মী ডেভিড বার্গম্যান, সাবেক জেলা জজ ইকতেদার আহমেদ, আইনজীবী শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান প্রমুখ।

Post a Comment

0 Comments